নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলা বাসন থানা পুলিশের সহযোগিতায় চলছে অবৈধ জুয়া ও মাদকের আসর একের পর এক অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয় অসংখ্য তরুণ যুবকেরা ওয়ান টেন নামীয় জুয়া খেলার মাধ্যমে এক ভয়ানক ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে। বাসন থানা দিন “১২ বৈকা বাজার” সংলগ্ন অবৈধ জুয়া ও মাদকের আসর দীর্ঘদিন চলমান থাকায় খেলোয়াড়দের সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। পরিশ্রম না করে টাকা কামানোর ফাঁদে পা দিয়ে হচ্ছে সর্বস্বান্ত। এমতাবস্থায় শেষ পরিণতিতে শুধু নিজেই নয় পরিবার শুদ্ধ চলে যাচ্ছেন খাদের কিনারায়।
স্থানীয়রা জানায়, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশ নীরব থাকায় এ জুয়া ও মাদকের আসরে জেলার ভিন্ন ভিন্ন স্থানের জুয়ারীরা অংশ নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।স্থানীয়”কমিশনার ফয়সাল মিয়ার” নেতৃত্বে বিকাল ৫টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ত্বরণরা মাদক সেবন করে প্রতিরাতে খেলার মাধ্যমে হাত বদল করছে লক্ষ, লক্ষ্য টাকা। অবৈধ জুয়া ও মাদকের আসরে অংশগ্রহণ করতে বিভিন্ন জেলার ধনাঢ্য জুয়াড়িরা আসছে দামি গাড়িতে চড়ে। অবৈধ জুয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের। প্রভাবশালী জুয়া বোর্ডের আয়োজক কমিশনার ফয়সাল আর প্রশাসনের কিছু সংখ্যক অসৎ কর্মকর্তাদের কারণে এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর জেলার আলোচিত জুয়ারি ও মাদক বিক্রিসহ সেবনকারী “আরিফ” ও সহযোগী হিসেবে রয়েছে “সুমন”মোশারফ”ফারুক সরকার” নূর ইসলাম হাজী” মিলে ওয়ান টেন নামীয় খেলা ও মাদকের আসর জমিয়ে রেখেছে। খেলার আয়োজকরা জুয়াড়িদের আনার জন্য নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থাও করে থাকেন।জানা যায়, প্রতিরাতে এখানে কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়। এর ভাগ চলে যায় স্থানীয় কিছু কতিপয় ব্যক্তিসহ ওপর মহলে। যে কারণে কাউকে তোয়াক্কা না করে নির্দ্বিধায় দাপটের সহিত অবৈধ কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
নাম প্রকাশ সে অনিচ্ছুক জুয়া খেলায় অংশ নেওয়া বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তি বলেন, কিছুদিন পরপর গাজীপুর জেলার বেশ কয়েকটি থানার সুবিধাজনক স্থানে উল্লিখিত জুয়ার আয়োজক ব্যক্তিরা দিনে-রাতে অবাধে জুয়া ও মাদকের আসর জমিয়ে রাখে। বিষয়টি জেলা থেকে শুরু করে বাসন থানার লোকজন ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সবাই জানে। থানা পুলিশের নীরবতা দেখে এ দুষ্কৃতিকারী চক্রের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন প্রকাশ্যে মুখ খুলতে অনিচ্ছুক। যদি কেউ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে প্রতিবাদ করতে চায় বেঁচে থাকতে পারবে না বলে হুমকি দেয় জুয়ার টাকায় প্রভাবশালী হওয়া খেলার আয়োজকরা।
বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসিকে) এ অবৈধ জুয়া ও মাদকের আসর সম্পর্কে বারবার অবগত করলে । তিনি উক্ত বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনি নিবে ,নিচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন গণমাধ্যম কর্মীদের । কিন্তু সরেজমিনে উনার কথা এবং কাজের ভিন্নতা দেখা যায় । অবৈধ কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় সঠিক জায়গার নাম ঠিকানা দেওয়া সত্ত্বেও সময় অনুযায়ী উনার থানার পুলিশ পাঠাতে ব্যর্থতার প্রকাশ পায়।