জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া শাখার নেতা মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির হামজা নামের একজন বক্তার বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমির হামজা তাঁর বক্তব্যে দাবি করেছেন, তিনি জাবির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায়। প্রকৃতপক্ষে তাঁর কোনো বক্তব্যই সত্য নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালু হয়। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এই বিভাগে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। সুতরাং আমির হামজা জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা সত্য নয়।
আবাসিক হলগুলোতে সকালে মদ দিয়ে কুলি করার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করার বর্ণনাটিও আমির হামজার মনগড়া ও অসত্য বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, প্রমাণসহ এমন নজির প্রশাসনের কাছে নেই। ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর তাঁর বক্তব্যটি সত্যের অপলাপমাত্র। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তসম্পর্কের বন্ধন সব সময়ই প্রশংসনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমির হামজার মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমির হামজাকে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানে সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমির হামজাকে একটি ওয়াজ মাহফিলে বলতে দেখা গেছে, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি দেখেছেন, সকালবেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীরা মদ দিয়ে কুলি করছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।