পটুয়াখালীর গলাচিপায় ইলিশ মাছ চুরির অভিযোগে দুই কিশোরকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গলাচিপা থানার পুলিশ ইমরান বয়াতি (৪০) নামের ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত সোমবার উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরমহিরউদ্দিন এলাকায় পাউবোর নতুন স্লুইসগেট-সংলগ্ন স্থানে ওই দুই কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার ইলিশ মাছ চুরির অভিযোগ তুলে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ইমরান বয়াতি কিশোর আবদুল্লাহ (১০) ও সাব্বিরকে (১৪) ধরে নিয়ে যান। পরে চরবিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাসান সরদার ও ইমরান বয়াতি তাঁদের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে রোদে বসিয়ে রেখে নির্যাতন করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁদের হাতে ইলিশ মাছ দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
পরে আবদুল্লাহর নানা শাহজাহান ওই দুজনকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তাঁর কাছে মাছ চুরির ক্ষতিপূরণের টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারায় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয় তাঁকে। টাকা দিতে না পারায় শাহজাহানের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে দুই কিশোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফেরার পর আবদুল্লাহকে চিকিৎসার জন্য গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে নির্যাতনের অভিযোগে শাহজাহান বাদী হয়ে গতকাল রাতে গলাচিপা থানায় মামলা করেন।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশাদুর রহমান বলেন, চরবিশ্বাস ইউনিয়নে দুই কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় আবদুল্লাহর নানা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় মাছ ব্যবসায়ী ইমরান বয়াতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।