পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে বহু বছর আগে কুয়েতে পাড়ি জমান ইলিয়াছ মিয়া (৫৪)। দেশে ফেরার স্বপ্ন ছিল তার। ২১ বছরের প্রবাস জীবন শেষে ফিরে এলেন ঠিকই তবে জীবিত নয়, লাশ হয়ে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে তার মরদেহ সুজাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এলে স্বজন ও প্রতিবেশীদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস। শেষবারের মতো তাকে একনজর দেখতে ভিড় করে এলাকাবাসী।
নিহত ইলিয়াছ মিয়া লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্যার ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে ২০০৪ সালে কুয়েতে পাড়ি জমান ইলিয়াছ মিয়া। র্দীঘ ২১ বছর তিনি কুয়েতে ছিলেন। চলতি মাসের শেষ দিকে তার বাড়িতে আসার কথা ছিল। গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাড়িতে আসার জন্য তিনি একটি কার্ড আনতে কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাস যান। কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কার্ড নিয়ে ফেরার পথে ওই এলাকার ৩০ নম্বর সড়ক পারাপারের সময় একটি গাড়িতে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর বেলা আড়াইটাই সুজাপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে তার জানাজার নামাজ শেষে তাকে সুজাপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রবাসী ইলিয়াছ মিয়ার স্ত্রীর বড় ভাই খান মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমার দুলাভাই দীর্ঘ ২১ বছরের কুয়েতে প্রবাস জীবন শেষে করে এই মাসের শেষের দিকে দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু দেশে আসলো তার নিথর দেহ। তার মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত।