বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলাজুড়ে চলছে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এই কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে।
সকাল ৮টা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে মিছিল শুরু হয়। সাড়ে ৮টার দিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। চারটি আসন পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সতর্ক করে জানান, গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন ছিল। তবে গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রাথমিকভাবে জেলার আসন সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে তিন করার প্রস্তাব দেয়। এ ঘোষণার পর থেকেই বাগেরহাটে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ ও আপত্তি সত্ত্বেও গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেটে আসন সংখ্যা তিনটি বহাল রেখে শুধু সীমানা পরিবর্তনের ঘোষণা দেয় ইসি।
নির্বাচন কমিশনের নতুন গেজেট অনুযায়ী—
- বাগেরহাট-১: বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট
- বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা
- বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা
কিন্তু পূর্বের আসন বিন্যাসে চারটি আসন ছিল—
- বাগেরহাট-১: চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট
- বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর, কচুয়া
- বাগেরহাট-৩: রামপাল, মোংলা
- বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা
নেতাকর্মীরা বলছেন, জেলার মানুষের দাবি উপেক্ষা করে এই পরিবর্তন করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।