বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন এবং প্রধান ফটক ঘিরে রাখেন। এ সময় নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
এরই মধ্যে হাইকোর্ট বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী চার আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনে নামানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানান, দুর্গাপূজার কথা বিবেচনা করে হরতালের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হলেও নির্বাচন অফিস ঘেরাও চলবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ও আদালত—দুই ক্ষেত্রেই লড়াই অব্যাহত থাকবে।
কমিটির সদস্য সচিব ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, “দুর্গাৎসব, ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বিবেচনা করে আমরা হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তবে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছেন, তার মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার আশা করছি। চারটি আসন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”